
নদীর ডাক, কুয়াশার সকাল কিংবা হারিয়ে যাওয়া চিঠির মতো নিঃশব্দ অনুভূতিগুলো শব্দে রূপ নেয় “অভ্যন্তর”-এর পাতায়। এই বই যেন এক আবছা বিকেলের গোপন কথোপকথন—কখনও জোনাকির আলোয় দেখা পাওয়া অপেক্ষা, কখনও রেলস্টেশনের নীরবতা, আবার কখনও কার্তিকের শেষ বিকেলের বিষাদ।
ওয়াহিদুর রহমান-এর গদ্য শৈলী সরল, কিন্তু তাতে রয়েছে আবেগের গভীর স্রোত। প্রতিটি লেখা যেন একেকটি জানালা—যেখানে পাঠক খুঁজে পাবেন নিজের ভেতরের ছায়া, আলো আর নীরবতার ভাষা।
“অভ্যন্তর” কোনো গল্পগুচ্ছ নয়, এটি অনুভূতির পর পরত খুলে দেখার এক সাহিত্যিক অন্বেষা—যেখানে ‘নামহীন ডাকপিয়ন’ কিংবা ‘ছেঁড়া ঘুড়ি’ও হয়ে ওঠে আত্মার দেহরেখা।