কেউ হারাম রিলেশন রোগে আক্রান্ত হলে রবের দুয়ারে একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণ ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তির দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই।
হারাম সম্পর্ক—এ এক ভয়ঙ্কর আত্মিক রোগ, যা ধীরে ধীরে হৃদয়ের পবিত্রতা নষ্ট করে, মনকে কলুষিত করে এবং ঈমানের আলোকে নিভিয়ে দেয়। এই সম্পর্ক হয়তো শুরু হয় একটুখানি মোহ থেকে, একটু ভালো লাগা থেকে, কিন্তু শেষে তা পরিণত হয় এমন এক অভ্যাসে, যা মানুষের আত্মাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তরে এক অদৃশ্য ভার জমতে থাকে—তাওবার দরজা থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তাকে, নামাজে মন বসে না, কোরআনের শব্দ হৃদয়ে দাগ কাটে না। আত্মা যেন কাঁদে, কিন্তু সেই কান্না হয় নিঃশব্দ।
তবে, এই গোনাহর অন্ধকার থেকে মুক্তির পথ একটাই—আল্লাহর দরজায় একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণ। অন্য কোনো পথ নেই, অন্য কোনো চিকিৎসা নেই, অন্য কেউ মুক্তি দিতে পারে না। কেবল তিনিই পারেন সেই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে, যিনি অগণিত বার আমাদের গুনাহ মাফ করে দেন।
হারাম সম্পর্কের জাল ছিঁড়তে হলে চাই—একটি অন্তরের কান্না, চাই গভীর অনুশোচনা, চাই তাওবার মাধ্যমে নতুন জীবন শুরু করার দৃঢ় অঙ্গীকার। তাওবা মানে কেবল কান্না নয়, বরং পেছনের পথে ফিরে না তাকানোর প্রতিজ্ঞা। একবার যদি রাব্বুল আলামিনের দরজায় মাথা ঝুঁকিয়ে দেওয়া যায়, তিনি তাঁর করুণার চাদর বিছিয়ে দেন আমাদের জন্য।
তাই, কেউ যদি হারাম রিলেশনের মতো ভয়াবহ এক আত্মিক রোগে আক্রান্ত হয়, তার করণীয় একটাই—চোখে অশ্রু, মুখে তাওবা, হৃদয়ে লজ্জা আর দুনিয়ার সব মোহ ত্যাগ করে রবের দরজায় ফিরে আসা। কারণ, সেই দরজাই একমাত্র দরজা, যেখানে আশাহত হওয়া যায় না।