রাজশাহীর তরুণ প্রজন্মের এক উজ্জ্বল মুখ ছিলেন ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ। রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ও শহরের অন্যতম পরিচিত ফটোগ্রাফার হিসেবে তিনি অল্প সময়েই অনেকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ক্যামেরার লেন্সে মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখাই ছিল তার জীবনের অন্যতম ভালোবাসা। কিন্তু সেই প্রিয় ক্যামেরা হাতে নিয়েই আজ রেললাইনের পাশে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তার জীবনাবসান ঘটলো।
ছবি তুলতে গিয়েই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাফিদ। এই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মানুষ বিস্ময় আর বেদনায় বাকরুদ্ধ। কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না — কিছুক্ষণ আগেও যার পোস্টে লাইক-কমেন্ট করছিল, আজ তার জন্য শোক প্রকাশ করতে হচ্ছে। রাফিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার ফেসবুক প্রোফাইল যেন শোকস্তব্ধ এক স্মৃতিস্তম্ভে পরিণত হয়েছে। ফলোয়ার বাড়ছে দ্রুত, নিউজ পোর্টালগুলোতে চলছে রিপোর্টিং, এবং পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই পুরনো কথোপকথনের স্ক্রিনশট দিয়ে তার স্মৃতিচারণ করছেন।
সময় যেন কত ভয়াবহভাবে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে। যে ছেলেটি মাত্র ছয় ঘণ্টা আগে ফেসবুকে একটিভ ছিল, হাসছিল, হয়তো কারও সঙ্গে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছিল — সেই মানুষটা এখন আর এই পৃথিবীতে নেই। একটা মুহূর্ত, একটা অসাবধানতা, একটা ভুল পা ফেলানো, আর তারপর সব শেষ।
এই ঘটনা আমাদের কঠিন বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয় — জীবন অত্যন্ত অনিশ্চিত। সময় কোনোভাবেই আমাদের হাতে নেই। তাই ভালোবাসার মানুষদের কাছে থাকুন, নিরাপত্তা সচেতন হোন, এবং প্রতিটি মুহূর্তকে গুরুত্ব দিন। কারণ কখন কোনটা শেষ মুহূর্ত হয়ে দাঁড়ায়, তা কেউই জানে না।
আল্লাহ যেন ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আমিন।