বিপদে হাত বাড়ানো নেতা – প্রতিকূল অবস্থায় সমর্থন ও দিকনির্দেশনা দেওয়ার কৌশল।

প্রকৃত নেতা চেনা যায় বিপদের সময়ে। সহজ সময়ের নেতৃত্ব আসলে পরীক্ষা নয়, আসল পরীক্ষা তখনই হয় যখন দল দিশেহারা হয়ে পড়ে, সামনে অন্ধকার জমে ওঠে আর চারপাশে অনিশ্চয়তা ঘনীভূত হয়। সে সময় নেতা যদি শুধু দূর থেকে নির্দেশ দেন, তবে আস্থা গড়ে ওঠে না। কিন্তু যখন তিনি নিজের হাত বাড়িয়ে দেন, পাশে দাঁড়ান, সমর্থন আর সাহস দেন, তখন টিম বুঝতে পারে তারা একা নয়।

বিপদের মুহূর্তে নেতার প্রথম কাজ হলো আতঙ্ক কমানো। তিনি সমস্যাকে ছোট করে দেখান না, আবার ভয়ের চাপে দলকে ভেঙে পড়তেও দেন না। তিনি বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নিয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেন—কোন পথে এগোতে হবে, কোথায় থামতে হবে, কীভাবে শক্তি ধরে রাখতে হবে। তার কথার ভেতর থাকে দৃঢ়তা, আবার তার উপস্থিতি টিমকে দেয় মানসিক আশ্রয়।

সাহিত্যের ভঙ্গিতে বলতে গেলে, বিপদে হাত বাড়ানো নেতা হলো সেই প্রদীপ, যে ঝড়ের রাতে নিভে যায় না, বরং অন্য প্রদীপ জ্বালায়। তিনি জানেন, সব ঝড় চিরদিন থাকে না, কিন্তু সাহস হারিয়ে দিলে ঝড় থামার আগেই যাত্রা শেষ হয়ে যায়। তাই এই ধরনের নেতা আসলে কেবল পথ দেখান না, তিনি হয়ে ওঠেন দলের প্রাণশক্তি, ভরসা আর টিকে থাকার প্রতীক।

Previous articleতখন মেসেজ মানেই ছিলো একটা আলাদা গুরুত্ব।
Next articleবৃষ্টিভেজা প্রশান্তি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here