কী মানুষ বানাইলা ভবে!

মানুষ—কী আশ্চর্য এই সৃষ্টি!
নিজেই জানে না কাল কী হবে,
তবুও গড়ে তোলে শত পরিকল্পনা,
ভাবতে থাকে—সে বুঝি থাকবে আজীবন।

সে ভাবে, আরও কিছু হবে, আরও কোথাও যাবে,
বাড়ি হবে, গাড়ি হবে, সুখ ছুঁয়ে যাবে দুয়ারে।
কিন্তু ভাবে না, একদিন এই প্রাণপাখিটা চুপচাপ উড়ে যাবে,
থেকে যাবে শুধু নিঃস্তব্ধ এক দেহ—যা মিশে যাবে মাটির বুকে।

মৃত্যুর পরে নেই কোনো দাম—না সম্পদের, না শরীরের।
যা কিছু ছিল গর্ব, সব পড়ে থাকবে নিস্তব্ধ ঘরে।
দুনিয়া এক ক্ষণস্থায়ী থিয়েটার,
যেখানে সবাই কেবল অস্থায়ী চরিত্র।

তবু আমরা দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকি—এই চাই, সেই চাই।
যা নেই, তা নিয়ে মন খারাপ করি,
যা আছে, তা ধরে রাখার চেষ্টাও করি না।

জীবনের সৌন্দর্য আছে সরলতায়,
আছে মাটির গন্ধে, প্রকৃতির কাছাকাছি।
যতটা না পেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি হারিয়েছি—
শান্তি, সময় আর সত্যিকার সুখ।

কী মানুষ বানাইলা ভবে!
জানেনা কাল কী হবে,
তবু ভাবে—সে বাঁচবে আজীবন।

Previous articleসময়ের ছলনা
Next articleসময়ের রং (জীবনের বাস্তবতা)

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here