জীবনে যা চেয়েছি, তা পাইনি—আর যা চাইনি, তারও করুণ অনুপস্থিতি আমার সমস্ত চাওয়াকে আরও নির্জন করে তুলেছে। নিয়তির নিরব ক্যানভাসে আমি কেবলই এক অসমাপ্ত রেখাচিত্র—যার কোনো বর্ণ নেই, ব্যাখ্যা নেই, শুধু অস্পষ্ট এক ছায়া হয়ে বেঁচে থাকা।
চাওয়ারও এক যন্ত্রণা আছে, না-পাওয়ারও এক ক্লান্তি—কিন্তু সবচেয়ে করুণ যে অনুভব, তা হলো অভ্যস্ত হয়ে পড়া। সমস্ত চাওয়া, স্বপ্ন, সম্ভাবনা যখন একে একে ঝরে পড়ে, তখন মানুষ নিজেকেই ভুলতে শুরু করে। মুখোশের আড়ালে প্রতিদিন যাকে দেখি, সে আমি নয়, সে কেবল বেঁচে থাকার অভিনয়ে ব্যস্ত এক ছায়ামূর্তি।
এই না-পাওয়া, না-চাওয়ার শূন্যতা একদিন ধীরে ধীরে আত্মার ভাঁজে বিষিয়ে ওঠে। শব্দেরা মুখ থুবড়ে পড়ে, অনুভূতিরা হয়ে ওঠে নির্বাক। আর তখনই মানুষ অনুভব করে—সব হারানোর শেষ ধাপ আসলে নিজেকে হারিয়ে ফেলা। জীবনের ভিতরে তখন কোনো আর্তি থাকে না, কেবল এক গভীর নীরবতা, যা আর কোনো ভাষায় অনুবাদ হয় না।