প্রত্যেক নেতার দীপ্ত সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক অদৃশ্য শক্তি—মেন্টর। তিনি আলোয় আসেন না, মঞ্চে দাঁড়ান না, করতালিও পান না, অথচ তার নিঃশব্দ প্রভাব নেতার ভেতরে বুনে যায় সাহস, প্রজ্ঞা আর দিকনির্দেশনা। মেন্টর কখনো সরাসরি পথ দেখিয়ে দেন, আবার কখনো এমন এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, যার উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই নেতার ভেতরে জন্ম নেয় নতুন উপলব্ধি।
নেতৃত্বে মেন্টরের ভূমিকা ঠিক নদীর তলদেশের স্রোতের মতো। চোখে পড়ে না, কিন্তু তার টানেই ভেসে চলে নৌকা। একজন নেতা যখন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ধৈর্য ধরে প্রতিকূলতা সামলাতে পারেন, তখন আসলে সেখানে মেন্টরের অদেখা ছায়া কাজ করে। নেতা হয়তো সবার সামনে আলোয় দাঁড়িয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁর আলো জ্বলার পেছনে থাকে সেই নীরব প্রদীপধারী, যিনি আলো নিজের হাতে না রেখে অন্যের হাতে তুলে দেন।
সাহিত্যের ভাষায়, মেন্টর হলো এক অদৃশ্য কারিগর, যিনি মানুষের ভেতরে বুনে দেন স্বপ্নের কাঠামো। তাঁর স্পর্শে নেতা হয়ে ওঠেন আরও মানবিক, আরও দৃঢ়, আরও দূরদর্শী। তাই অদৃশ্য মেন্টরের গল্প আসলে এক নীরব অনুপ্রেরণার গল্প, যা প্রকাশ্যে না এলেও নেতৃত্বের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিধ্বনিত হয়, আর প্রমাণ করে—আলো শুধু দেখা যায় না, অনুভবও করা যায়।